201 Gombuj Tangail Mosque info ||২০১ গম্বুজ মসজিদ ||201 Tangail Mosque HD photo||

201 Gombuj Tangail Mosque info  ||২০১ গম্বুজ মসজিদ ||201 Tangail Mosque HD photo||

201 Gombuj Tangail Mosque info  ||২০১ গম্বুজ মসজিদ ||201 Tangail Mosque HD photo||


বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মিনার ।একটি ৫৭  তলা ভবনে সমান উচ্চতা । মসজিদের ছাদে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন 201টি  কারুকার্যময় গম্বুজ। তাই ২০১ গম্বুজ মসজিদ নামে পরিচিত।  

১৫  বিঘা জায়গার উপর এই মসজিদের নকশা করা হয়েছে ২০১ টি গম্বুজ ও ৯ টি মিনার দিয়ে।

দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের ছাদে ১০১ ফুট উচ্চতার একটি গম্বুজ রয়েছে। চারপাশে  ছোট ছোট গম্বুজ আছে 200 টি এগুলোর প্রত্যেকটি উচ্চতা ২৩  ফুট ।  

মূল  চারকোণায় রয়েছে চারটি মিনার এগুলো প্রত্যেকটি উচ্চতা ১১১ ফুট ।  পাশাপাশি আরও চারটি মিনারা ১০১  ফুট  উচ্চতার । সবচেয়ে উঁচু মসজিদের পাশে অবস্থিত উচ্চতা ৪৫১ ফিট বা  57  তম ভবনের সমান।

১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৬৫  ফুট প্রস্থের এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবেন ।

মসজিদের ভেতরের দেয়ালে পবিত্র কোরআন শরীফের ৩০  পারা আয়াত ৬৬১ থালা রাখা হয়েছে।  যে কেউ বসে বা দাঁড়িয়ে মসজিদের দেয়ালে অঙ্কিত কোরানশরীফ পড়তে পারবেন ।

প্রধান দরজা নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ৫০ মন পিতল ।  মসজিদের প্রধান ফটকে মহান আল্লাহ পাকের ৯৯  টি নাম পিতল  দিয়ে গঠিত ।

মসজিদের  টাইলস ফিটিংস এর যাবতীয় শোভাবর্ধনের সৌখিন কারুকার্যখচিত পাথর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হয়েছে ।  দেয়াল ও মেঝেতে ব্যবহারের জন্য ইতালি থেকে উন্নত মানের মার্বেল পাথরের টাইলস আমদানি করা হয়েছে ।

কাজ শেষ হলেই একসাথে এই মসজিদে ১৫০০০ মুসল্লির নামাজ আদায় করতে পারবেন মসজিদের উত্তর পাশে রয়েছে একটি অজুখানা ।

এখানে একসাথে ১৫০  জন মুসল্লি অজু করতে পারবেন । এছাড়াও মসজিদের পাশেই নির্মাণ করা হচ্ছে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল , এতিমখানা,  বৃদ্ধাশ্রম,  মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা।

 

মসজিদকে ঘিরে ১৮  বিঘা জায়গার উপর হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে।  ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামের ঐতিহাসিক মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হয়।  নির্মাণ ব্যয় আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। মসজিদের নির্মাতা মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতি থেকে জীবনের সকল উপার্জন দিয়ে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান ।ইতোমধ্যে মসজিদের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের ।


অত্যাধুনিক ঐতিহাসিক মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত দর্শনার্থী ছুটে আসেন।

মসজিদ কেন্দ্র করেই পাশে গড়ে উঠেছে দোকান হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং দূর দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্য আবাসিক সুবিধা।।

  

 মসজিদ দেখতে যাওয়ার উপায়


টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদে যেতে রাজধানী ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দ্রুতগামী বাসে উঠে সরাসরি গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে।  প্রায় ১৪৫  কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতেই সময় লাগবে প্রায় চার ঘণ্টা । বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি অটোরিকশা ভ্যানে করে ১০  কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মসজিদে পৌঁছাতে হবে ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url